ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে হুলিয়া, সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

বিশ্বাস ভঙ্গ ও চেক প্রতারণার এক মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাদিপক্ষের আবেদনে শুনানির পর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ফারহা দিবাহ ছন্দা এ আদেশ দেন।

বাদিপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি মামলা করা হলে সমন জারি করেছিলেন আদালত। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল সমনের তারিখ।

ওইদিন আসামিরা না আসায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কিন্তু এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিরাও আদালতে আত্মসমর্পন করেননি। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও তাঁদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি।

আদালত তা আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’

এ আইনজীবী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী আসামিরা ৩০ দিন সময় পাবেন। এর মধ্যে আত্মসমর্পন না করলে বা তাঁদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ কার‌্যকর করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন দেখে মোটরসাইকেল কিনতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেন মামলার তিন বাদি- তানভীর আহমেদ, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন ও তৌফিক মাহমুদ।

মামলাগুলোর অভিযোগে বলা হয়, ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ কর‍তে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ইভ্যালি তাদেরকে পণ্যের সমমূল্যের চেক দেয়। এরপর চেকগুলো নগদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলে তা প্রত্যাখ্যান হয়। পরে এ বিষয়ে রাসেল ও শামীমাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না দেওয়ায় এবং কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও রাসেলের বিরুদ্ধে গত ১৬ জানুয়ারি বাদিরা বিশ্বাস ভঙ্গ ও চেক প্রতারণার মামলা করেন।

এক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব। এরপর তাঁদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়; নেওয়া হয়েছিল রিমান্ডেও। ইভ্যালির পুনর্গঠন হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে শামীমাকে ২০২২ সালের এপ্রিলে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেন আদালত। আর রাসেল মুক্তি পান গত ১৯ ডিসেম্বর। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ও পরে এই দম্পতির বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও অন্যান্য প্রতারণার দায়ে দেশে সাড়ে তিন শাতাধিক মামলা হয়েছিল।