তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা প্রতারণা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৩ জুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে তার পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন আদালত। আজকে সেই শুনানি শেষে চার্জগঠন করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন। ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর তা গ্রহণ করেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চায়। সাবরিনা ২০১৬ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম আর এইচ হক আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় ২০২২ সালের ১৯ জুলাই সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ৬ জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত আছেন সাবরিনা।