ঢাকা ইউনিভার্সিটির ইতিহাসে প্রথম তৃতীয় লিঙ্গ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী

ধীরে ধীরে হলেও বদলে যাচ্ছে মানসিকতা। কিছুদিন আগেও রূপান্তরকামী (transgender)-দের সমাজে গ্রহণযোগ্যতার জায়গা ছিল অনেকটাই সংকীর্ণ। বিভিন্ন সংস্থায় কাজের সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সেইসঙ্গেই, নিজের যোগ্যতাতেই তারা জায়গা করে নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক প্রোগ্রামে ট্রান্স জেন্ডার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ কোটা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তর্ভুক্তি প্রচারের ব্যবস্থার অংশ হিসাবে, বিশ্ববিদ্যালয় অন্যথায় বঞ্চিত সম্প্রদায়ের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারের সাথে আলাপকালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, “একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি তাদের সাহায্য করবে যারা বঞ্চিত এবং অবহেলিত।"

২৫ বছর বয়সী অঙ্কিতা ইসলাম গত বছরের ডিসেম্বরে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধীনে এক্সিকিউটিভ এমবিএ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া প্রথম ট্রান্স মহিলা হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন। তিনি জানান, "গত বছর ২ ডিসেম্বর ভর্তির পরীক্ষায় বসেন, সেখানে ফর্ম-এ জেন্ডারের জায়গায় ‘নারী’ এবং ‘পুরুষ’ না বেছে ‘অন্যান্য’ বেছে নেন।  এমবিএ পড়ার জন্য ভর্তির পরীক্ষায় বসে, নিজের মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পেয়েছেন।  পরে মৌখিক পরীক্ষাতে সফল হন অঙ্কিতা। ওই সময়ে বোর্ডের সবাই তাঁর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। মেধাতালিকায় ১৮৩ নম্বর স্থানে নাম ওঠে তাঁর। পরে তিনি ১২ হাজার টাকা ফি দিয়ে ভর্তি হন। যদিও তিনি এমবিএ পরীক্ষার জন্য নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন জাহিদুল ইসলাম হিসাবে। সেই জাহিদুল এখন রূপান্তরিত হয়ে অঙ্কিতা। ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে মানবসম্পদ বিভাগে (HR department) কাজ করছেন।"