ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে দুর্যোগকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
আজ রবিবার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্ট্যান্ডিং অর্ডার অনুসারে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি যে সমস্ত অবকাঠামো আছে সেগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেবেন। সেভাবে তারা সে সমস্ত ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সে সময় অর্থাৎ দুর্যোগ চলাকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনায় হবে। অর্থাৎ সে সময় স্থগিত থাকবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত। এক্ষেত্রে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আজ দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ছয় ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্ধ্যায় অগ্রভাগ অতিক্রম শুরু হবে, মধ্যরাতে মূল ঝড় অতিক্রম করবে। হয়তো ভোরের ভেতরে শেষ হবে।
তিনি জানান, স্কুলগুলো খোলা থাকবে। কর্তৃপক্ষ স্কুলে থাকবে যাতে মানুষ আসলে আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু ক্লাস বন্ধ থাকবে। এটা শুধু উপকূলের জন্য।