জাপানের টোকিও বিগ সাইটে ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড টোকিও ২০২৪-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড জাপানের ফ্যাশনশিল্পের জন্য সবচেয়ে বড় ট্রেড শো। এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৮০০টি পোশাক, ব্যাগ, জুতা, টেক্সটাইল, চামড়া ও ফ্যাশন আনুষঙ্গিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। বাংলাদেশ এক দশকের বেশি সময় ধরে টোকিও ফ্যাশন ওয়ার্ল্ডে অংশ নিচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বাজার উন্নয়ন উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশের পোশাক ও চামড়াশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১২টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এবার মেলায় অংশগ্রহণ করে। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ ১৭ এপ্রিল মেলার প্রথম দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস একই দিনে টোকিও বিগ সাইটে ‘মেড ইন বাংলাদেশ টেক্সটাইল, চামড়া ও পাটজাত পণ্য’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণে মানসম্পন্ন পণ্য আমদানির জন্য জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাপান টেক্সটাইল প্রোডাক্টস কোয়ালিটি অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টারের পরিচালক ও জেনারেল ম্যানেজার কেই ফুনাকি বাংলাদেশে তাঁদের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার ওপর পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) আরিফুল হক বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার সম্ভাবনা ও দূতাবাসে প্রদত্ত সেবার কথা উল্লেখ করেন। সেমিনারটি জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং ইউনিডো আইটিপিও টোকিওর সহায়তায় আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে একটি মতবিনিময় সভা ও নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, জাপান বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বাজার। ২০২২-২৩ সালে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড টোকিওতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জাপানের বাজারের বিদ্যমান হিস্যা ধরে রাখতে ও রপ্তানি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিজ্ঞপ্তি