হবিগঞ্জে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেল ৫২ তরুণ-তরুণী

মাত্র ১২০ টাকা খরচ করেই হবিগঞ্জ জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েছেন ৫২ জন তরুণ-তরুণী। ‘চাকরি নয়, সেবা’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পুলিশের নিয়োগ কার্যক্রমের সবগুলো ধাপ পেরিয়ে তারা এ চাকরি অর্জন করে। আর এই অর্জনের পিছনে তাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা। 

চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন দিনমজুর ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়ে। হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বিপিএম-সেবা’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে শতভাগ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে কয়েক হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে ৫২ জন চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

এর আগে গত ১৬, ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আবেদনকারী প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ-২০২৪ এর কার্যক্রম। পরে তিন ধাপে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই বাছাই শেষে গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় লিখিত পরীক্ষা। 

বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপর উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সকাল ১০ টায় মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৮ জন তরুণী ও ৪৪ জন তরুণ প্রার্থীকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত করা হয়। বুধবার রাত ৯টায় নির্বাচিত ৫২ জন তরুণ-তরুণীর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বিপিএম-সেবা। 

এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিন্দুমাত্র অনিয়ম হয়নি। কোনো ধরনের তদবির বাণিজ্য ছাড়াই শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষ ভাবে, শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগে ১২০ টাকার বাইরে কারও একটি টাকাও কাউকে দিতে হয়নি। এসময় তিনি প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সকলকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। 

এদিকে, জনপ্রতি মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে চাকড়ী লাভ করায় খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেন ওই সকল তরুণ-তরুণী। অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে অনেকের অভিভাবক পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

ফলাফল ঘোষণার সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলাম, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহফুজা আক্তার শিমুল, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. শামসুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দিরাই সার্কেল) মো. শহিদুল হক মুন্সি প্রমুখ।