হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এসব সরঞ্জাম নিয়ে আরো উন্নত সেবা দিতে বিমান সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম।
তিনি বলেছেন, থার্ড টার্মিনালকে কেন্দ্র করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিপুলসংখ্যক নতুন জিএসই ইক্যুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি কিনেছে। নতুন জনবল নিয়োগের পাশাপাশি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত জনবলকে প্রশিক্ষণসহ নানা পদক্ষেপ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) কুর্মিটোলায় বিমানের যানবাহন বিভাগে এসব যন্ত্রপাতির অন্তর্ভুক্তি (কমিশনিং) এবং নতুন যানবাহন প্রদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিমানের এমডি। বিমানের যানবাহন বিভাগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, বিমানের পরিচালক এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৮টি ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট কার্গো/ব্যাগেজ টো-ট্রাক্টর, দুটি অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট পুশ-ব্যাক টো-ট্রাক্টর এবং নতুন সেডান ভিআইপি কার কমিশনিং করে নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরেছে রাষ্ট্রায়ত্ব এই সংস্থাটি। বিমানের অপারেশনাল ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন যানবাহন ও জিএসই সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।
বিমানের কর্মকর্তারা জানান, জিএসই বিভাগের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় টয়োটার তৈরি ১৮টি ব্রান্ড নিউ এয়ারক্রাফট কার্গো/ব্যাগেজ টো-ট্রাক্টর জিএসই বহরে সংযোজিত হওয়ায় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আরো উন্নত হবে। একই সঙ্গে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় বিখ্যাত জিএসই নির্মাতা ফ্রান্সের টিএলডির তৈরি দুটি অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট পুশ-ব্যাক টো-ট্রাক্টর জিএসই বহরে যুক্ত হওয়ায় ফ্লাইট অনটাইম ডিপার্চার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমান জিএসই বিভাগে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও শতাধিক বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ব্র্যান্ড নিউ গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট যুক্ত হবে।
জিএসই-এর পাশাপাশি বিমান যানবাহন শাখার অধীনে ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ স্টেশনে বিভিন্ন ধরনের মোট ৫৩টি সেডান কার, ৬৩টি মাইক্রোবাস, তিনটি পাজেরো জীপ, ছয়টি পিক-আপ ভ্যান, দুটি অ্যাম্বুল্যান্স, চারটি মোটরসাইকেল ও একটি মিনিবাস রয়েছে।