ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ, আটক

ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। গতকাল শনিবার বিক্ষোভ করার সময় তেল আবিবের রাজপথ থেকে অন্তত পাঁচজন আটক হয়েছেন।

ইসরায়েলি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ‘দাঙ্গাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাঁচজনকে আটক করার কথা জানিয়ে এক্স পোস্টে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা সড়কে যান চলাচলে বাধা তৈরি করেছিলেন। পুলিশের নির্দেশনা মানেননি।

তেল আবিবের রাজপথ থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। তাঁদের জোরপূর্বক সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুপক্ষ।

ইসরায়েলের আরও কয়েকটি শহর থেকেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের অবিলম্বে ছাড়িয়ে আনতে একটি চুক্তি সই করার দাবি বিক্ষোভকারীদের। তাঁদের দাবি, জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন নেতানিয়াহু। এ জন্য নেতানিয়াহু সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে নেতানিয়াহুকে।

এদিকে গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আবার গতি পেয়েছে। আলোচনা করতে গতকাল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গেছে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়া। তাঁর সঙ্গে আরও আছেন ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের প্রধান রোনেন বার।

এএফপির খবরে জানানো হয়েছে, প্যারিসে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করা তিন দেশ মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল।

এর আগে চলতি সপ্তাহে তেল আবিবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠক করেন হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক।

তেল আবিবের এ বৈঠকের আগে তিনি মিসরের রাজধানী কায়রোয় অন্য মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে কায়রোয় এসব মধ্যস্থতাকারী গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।

হামাসের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ছয় সপ্তাহের জন্য গাজায় হামলা বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ২০০ থেকে ৩০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে হামাসের কাছে থাকা ৩৫ থেকে ৪০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।