রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ তৃতীয় বছরে গড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানাতে গতকাল শনিবার কিয়েভ সফর করেছেন রাশিয়াকে ঠেকাতে উন্মুখ পশ্চিমা নেতারা। এ সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্দার ডি ক্রু। কিয়েভের গোস্তোমেল বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা গত ৭৩০ দিন ধরে লড়াই করছি
ইউক্রেনীয়দের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই জিতব।’
রাশিয়াকে ইঙ্গিত করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনি বিমান পুড়িয়ে দিতে পারেন; কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা ঘুমাই ও জাগি, আমাদের সেই স্বপ্ন ধ্বংস করতে পারবেন না।’
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডার লিয়েন বলেন, ‘আমরা আগের চেয়েও বেশি দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনের পাশে আছি। যত দিন ইউক্রেন মুক্ত না হয়; তত দিন আর্থিক, সামরিক ও নৈতিকভাবে পাশে আছি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, ‘আমাদের যৌথ ভবিষ্যতের জন্য লড়ছে ইউক্রেন। এ কারণে কানাডা প্রথম দিন থেকে তাদের পাশে আছে।’
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে ন্যাটো।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার উদ্যোগ রাশিয়ার দেশটিতে সামরিক অভিযান চালানোর অন্যতম প্রধান কারণ। এদিকে গতকাল ইউক্রেনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কামানের গোলা উৎপাদন করতে ৩১ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
রাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেনে হামলা ও কারাবন্দি বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ৫০০টিরও বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার প্রধান কার্ড পেমেন্ট সিস্টেম, আর্থিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং নাভালনির কারাদণ্ডের সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন। এ ছাড়া তেল বিক্রি থেকে রাশিয়ার আয় কমানোর লক্ষ্যে দেশটির শীর্ষ তেলবাহী ট্যাংকার গ্রুপ সভকোমফ্লোতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।