এফবিসিসিআই-আইআরসি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনার “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence): সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে”

গত (৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪), দুপুর ২.৩০ মিনিটে ঢাকার ২৫ হাটখোলাস্থ এফবিসিসিআই ইনোভেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার ভবনে কৃত্রিম বুদ্দিমত্তার (AI) সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশ প্রেক্ষাপতে (AI)- এর প্রয়োগ এবং (AI) এর মাধ্যমে দেশের অরথনৈতিক উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্য এফবিসিসিআই- আইআরসি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এব যৌথ উদ্যোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজিত হয়েছে। সোমনারে AI-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা হয়। সেমিনারে উপস্থিত উদ্যোক্তাদের AI-এর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেমিনারে উপস্থিত উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকরা AI-এর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন।’

সেমিনারে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমনয়ক জন্য মোঃ আখতার হোসেন। তার বক্তব্যে বলেন, কৃত্রিম বুদ্দিমত্তার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল চালিকাশক্তি। এটি আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রকে রূপান্তরিত করার সম্ভাবনা রাখে। বাংলাদেশকে এই বিপ্লবের অংশ হতে হলে আমাদের (AI)  এর প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং এর সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।’ তিনি আরো বলেন যে, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে AI- এর প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। সরকার AI-এর উন্নয়ন ও প্রয়োগের জন্য নীতিমালা তৈরি করছে। এছাড়াও, ৷ এর দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’ এই সেমিনার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) এর প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ভামিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।

এফবিসিসিআই -আইআরসি এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরি বাবু সেমিনারে কো- চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন যে, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) কে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে চলতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) এর চাকরির সুযোগ বুদ্ধিতে, উন্নত উৎপাদনশীলতা এবং শক্তিশালী অর্থনীতি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন। ব্যাঙ্কিং এবং ফিনান্সের ক্ষেত্রে জালিয়াতি এড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) -এর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং গার্মেন্টস সেক্টরে AI- এর ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমন্তা (Artificial Intelligence) এর চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করে সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সেমিনারে উপস্থিত উদ্যোক্তাদের AI-এর ওপর দক্ষতা অর্জনের জন! পরামর্শ প্রদান করেন।

সেমিনারের উদ্বোধন এবং চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান, মূল বক্তা এবং মডারেটরের বক্তব্য শেষে এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এর সাথে (AI CERTs )এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। উল্লেখ্য, AI CERTs মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত প্রত্যয়িত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইন জ্ঞানের সাথে ভবিষ্যতের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি আইটি সেক্টরে দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশে কৃত্রিম বৃদ্ধিমতা এবং ব্লকচেইনের ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে আ্রগ্রহী। AI CERTs স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে একটি জ্ঞান-ভিডিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এফবিসিসিআই ইনোভেশন আ্যন্ড রিসার্চ সেন্টারকে সহযোগিতা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিশেষজ্ঞ জনশক্জির কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন AI CERTs এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জনাব রাসেল সরদার এবং সেমিনারের মডারেটর হিসেবে উপস্থিত Amazon Web Services (AWS) এর সল্যুশন আর্কিটেকচার এবং স্টার্টআপস লিডার মোহাম্মদ মাহদী-উজ জামান। তাছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ আমিন হেলালী, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এর পরিচালক ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, জনাব শামিম আহমেদ, এফবিসিসিআই ও এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এর এর অন্যান্য পরিচালকবগ, এফবিসিসিআই ইনোভেশন আযান্ড রিসার্চ সেন্টার এর প্যানেল উপদেষ্টা জন্যব সিদ্ধার্থ গোস্বামী, জনাব মোহাম্মাদ ছমায়ূন কবির, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিল্পপতি, সরকারি কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক এবং সাংবাদিকগণ।