কয়েকটি দেশে দেখা গেছে ব্যতিক্রমী চিত্র। মহামারির মধ্যেও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতির কমতি নেই তাদের। কোভিড বাস্তবতা মেনেই করা হয়েছে আয়োজন। প্রতিবার পশ্চিমা দেশগুলোতে মনোমুগ্ধকর আয়োজন থাকলেও এবার সব নজর কেড়েছে চীন। আর ঐতিহ্য মেনে প্রস্তুত নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারও।
চোখ ধাঁধাঁনো এ সৌন্দর্য চীনের। কী নেই, দেশটির নতুন বছরের আয়োজনে? বর্ণিল আলোর ঝলকানি আর মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত সবই নতুন বছরকে রাঙিয়ে তুলতে।
চীনের মিডিয়া গ্রুপের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ চার ঘণ্টা চলে অনুষ্ঠান। যার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের মূল আয়োজনের প্রস্তুতি ফুটে ওঠে।
করোনা মহামারির কারণে স্কটল্যান্ডে হয়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজন। আকাশে আলোকিত ড্রোন উড়িয়ে সম্পন্ন করা হয় ২০২১ বরণের প্রস্তুতি। দেশটির নাগরিকরা নতুন বছরের আলোক সজ্জা উপভোগ করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।
নতুন বছর ঘিরে বেলারুশে আয়োজন করা হয় নাচের অনুষ্ঠান। যাতে অন্যান্যদের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টও অংশ নেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ‘ক্রিস্টাল বলের’ আলোকসজ্জার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করা হবে। ৩২ হাজার এলইডি লাইট এ বছর সংযুক্ত করা হয়েছে। আয়োজকদের আশা, ঘরে বসেই মার্কিন নাগরিকরা ভাগাভাগি করবেন নতুন দিনের আনন্দ।
আয়োজকদের একজন বলেন, আমরা পরীক্ষামূলক আয়োজন করলাম। এবার আগে মতো জনগণ আসবে না। ভাচুর্য়ালি মানুষ দেখবে পুরো কার্যক্রম। যে যেখানেই থাকুন, প্রত্যাশা করবো নতুন বছর হোক আনন্দের।
রাশিয়াতেও এবার সীমিত আয়োজন রয়েছে বর্ষবরণের। ইউরোপের অন্যান্য দেশে ঘটা করে নতুন বছর উদযাপন হচ্ছে না। এছাড়া ব্রাজিলসহ আশপাশের দেশগুলোতে নির্দিষ্টস্থানে হবে নতুন বছরের আয়োজন।