চিকিৎসায় অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলাটি করেন প্রসূতির স্বামী এস এ আলম সবুজ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও আরো ৪জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন ও সেবিকা শংকরী রানী সরকার।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১শে জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর নাসরিন আক্তার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ভিকটিম একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। প্রসবের কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
মামলার বাদী এস আলম সবুজ গণমাধ্যমকে জানান, তাদের ধারণা ছিলো গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভালো চিকিৎসাসেবা পাবেন। প্রসবের সময় জটিলতা দেখা দিলে সেবিকা শংকরী রানীকে বার বার জানানো হলেও তিনি তা আমলে নেননি। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ওই সেবিকা দুই ইনটার্ন চিকিৎসককে ডেকে আনেন।
পরে ডাক্তার আসার কথা থাকলেও আসেননি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। প্রসবের সময় ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করা হলেও সেবিকা শংকরী রানী তা করেননি বলেও অভিযোগ করা হয়। এক পর্যায়ে প্রসূতি মা একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মামলার বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা করছে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ।