সারাদেশে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ-নিপীড়ন বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদ এবং ধর্ষকের বিচার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে ‘চুপ থাকায়’ আইনপ্রণেতাদের সমালোচনা করেছেন নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার নেত্রীরা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মুসলেম বলেন, ধর্ষণকারীরা কোন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় আছে তা দেশবাসী জানে। অথচ আমাদের আইনপ্রণেতারা ও প্রশাসন জানে না? আজকে তারা নিশ্চুপ, প্রশ্ন তো জাগেই। আজকে জাতীয় সংসদের স্পিকার যিনি নোয়াখালীর মেয়ে তিনি কিছু বলেছেন? তার কি কোনো কিছুই বলার নেই? ধর্ষকদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যদি কথা না বলি তাহলে এই ধর্ষণের মহামারী বন্ধ হবে না। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফৌজিয়া মুসলেম বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের আইনপ্রণেতারা এসব সবুজ বাহিনী, দেলোয়ার বাহিনীর পাশে থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমরা কি ধর্ষণের বিচার আশা করতে পারি? আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের দাবি জানান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। আইন সংস্কারের দাবি জানিয়ে ওয়াইডব্লিউসিএর প্রতিনিধি শিপ্রা দাস বলেন, এর মধ্যে থাকবে না কোনো ফাঁক, থাকবে না কোনো জামিনের ব্যবস্থা। এতে করে অপরাধীরা আর আইনের ফাঁকফোকর গলে বেরিয়ে আসতে পারবে না।
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেই বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে গণধিক্কার ও ‘অযোগ্য’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে। বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ঢাকা মহানগরের সদস্য নাজনীন আক্তার শারমিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী।