মুমূর্ষু স্বামীর জন্য রক্ত যোগাড় করে দেওয়ার কথা বলে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)। এদের মধ্যে একজন ধর্ষক, অন্যজন সহযোগী। আজ শনিবার বিকেলে এসব তথ্য গণমাধ্যমে জানান র্যাব-২’র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় মিরপুর থানার মধ্য মনিপুর পাড়াস্থ শিফা ভিলার তৃতীয় তলায় অভিযান পরিচালনা করে মো. মনোয়ার হোসেন ওরফে সজীব (৪৩) ও তার সহযোগী মাশনু আরা বেগম ওরফে শিল্পীকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। এক নারীকে তার মুমূর্ষু স্বামীর জন্য রক্ত যোগাড় করে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন মনোয়ার। তাকে ধর্ষণে সাহায্য করেন শিল্পী।
র্যাব জানিয়েছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নারী তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে সোহওয়ার্দী হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করান। ডিউটি ডাক্তার তার স্বামীর জন্য জরুরিভাবে রক্তের ব্যবস্থা করার পরার্মশ দেন। পরে ওই নারী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ব্ল্যাড ব্যাংকের সামনে গিয়ে কয়েকজন পুরুষকে বসা অবস্থায় দেখতে পান। তিনি রক্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে মনোয়ার তাকে রক্তের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানান।
রক্ত নিয়ে দেওয়ার কথা বলেন মনোয়ার ওই নারীকে মিরপুর থানার মধ্য মনিপুর পাড়াস্থ শিফা ভিলায় শিল্পীর বাসায় নিয়ে আসেন। সেখানে তার সহায়তায় ভুক্তভোগীকের ধর্ষণ করেন মনোয়ার। এ সময় তাকে গলাটিপে মেরে ফেলারও হুমকি দেন তিনি।
র্যাব আরও জানায়, লোকলজ্জার ভয়ে ও স্বামীর অসুস্থতার কারণে ধর্ষণের ঘটনাটি গোপন রাখেন ভুক্তভোগী। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মনোয়ার ভুক্তভোগীর স্বামীর নাম্বারে কল করে রক্তের ব্যবস্থা হয়ে গেছে বলে জানান। রক্ত নিতে তার স্ত্রীকে পাঠাতে বলেন। এটি জানতে পেরে ও ফের ধর্ষণের শিকার না হতে স্বামীর কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলেন ওই নারী। পরে তারা দুজনই র্যাব-২’র অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ করলে ঘটনাটির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া য়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে মনোয়ার ও শিল্পীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তার মনোয়ার ও শিল্পী ধর্ষণের ঘটনাটি শিকার করেছে। এ ছাড়া মনোয়ারের সঙ্গে শিল্পীর অবৈধ সর্ম্পক রয়েছে বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তারা।